হাকিকুল ইসলাম খোকন:
ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র নীনা আহমেদ কংগ্রেসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু’বছর ধরে ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালনের পর গত সপ্তাহে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে নীনা আহমেদ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘এশিয়ান-আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স’ বিষয়ক উপদেস্টার দায়িত্ব পালন করেন। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল জুলাইয়ে। কিন্তু জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময়ই নীতিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। বর্তমানে পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়া সিটি (দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয়), সিটি অব চেস্টার, ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টসহ দেলওয়ার কাউন্টির কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত ‘পেনসিলভানিয়া কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১’ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নের লড়াইয়ে (প্রাইমারি নির্বাচন) নেমেছেন নীনা। এই আসনের বর্তমান কংগ্রেসম্যান (ডেমোক্র্যাট) রোবার্ট ব্র্যাডির বিরুদ্ধে নির্বাচনী তহবিল তসরুপের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। এরই মধ্যে ওই অপকর্মে জড়িত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ব্র্যাডির প্রার্থিতা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় সৃস্টি হওয়ায় ডেমোক্রেটিক পার্টির নীনা আহমেদ মাঠে নামলেন।
সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ৩৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ, এশিয়ান ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, হিসপ্যানিক ১৫ শতাংশ, আদি আমেরিকান দশমিক ৩ শতাংশ। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা দিয়ে তৃণমূলে কাজ করা নীনা কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান ও হিসপ্যানিকদের ভোট পাবেন বলে অনেক নির্বাচনী বিশ্নেষকরা ধারণা করছেন।
নীনা আহমেদ বলেন, বর্তমান কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে জয়ী হতে হলে ভোটের রাজনীতির হিসাব অনুযায়ী বিপুল অর্থ লাগবে। বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনী তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে শিগগিরই একটি সমাবেশ করার কথা জানান তিনি। নীনা আহমেদ বলেন, নির্বাচনে বাংলাদেশি-আমেরিকানদেরও সহায়তার প্রয়োজন হবে। তারাই হবেন আমার মূল ভিত্তি।
মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কংগ্রেসম্যান হয়েছিলেন হাসিম ক্লার্ক (২০১১-২০১৩)। কিন্তু তিনি এক মেয়াদে দুই বছরের বেশি সে আসন ধরে রাখতে সক্ষম হননি। গত বছর নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় আটলান্টায় কংগ্রেসম্যান নির্বাচন করে হেরে যান বাংলাদেশি রাশিদ মালিক।